স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বলছেন বিশ্লেষকরা

স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বলছেন বিশ্লেষকরা
ছবির ক্যাপশান, স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বলছেন বিশ্লেষকরা
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিকে যুগান্তকারী বলছেন। আলোচনার টেবিলে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য, ‘জুলাই সনদ ২০২৫’-এর স্বাক্ষর নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নাগরিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। ঢাকা কেন্দ্রিক এই সমঝোতা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের দিকে অগ্রগতি নির্দেশ করে।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা পার হওয়ার পর অবশেষে স্বাক্ষর হলো রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। রাজপথের পরিবর্তে আলোচনার টেবিলে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করছেন। তাদের মতে, সনদ স্বাক্ষর না হলে নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হত। এছাড়া আইনি ভিত্তি ও সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে নাগরিকদের কাছে সনদ পৌঁছে দেওয়াও জরুরি।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নানা নাটকীয়তা, তারিখ পরিবর্তন এবং জুলাই যোদ্ধাদের বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যেও বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের জন্ম হয়েছে। স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিতে অধিকাংশ দল এই সনদে স্বাক্ষর করেছে।

টানা ৮ মাসের ৭৩টি বৈঠক, বাদানুবাদ ও ওয়াকআউটের পর রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ আলোচনার ফলে সনদটি তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে ঐক্য হওয়ার পাশাপাশি মতানৈক্যের বিষয়ও। এদিন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল স্বাক্ষর করেছে। তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মতভিন্নতার কারণে এনসিপি স্বাক্ষর করেনি। একইভাবে কয়েকটি বামপন্থি দল রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পরিবর্তন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়ায় স্বাক্ষর থেকে বিরত হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সোহরাব হাসান বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা সাধারণত রাজপথে সমাধান হয়। আলোচনার টেবিলে সমাধান হওয়া খুব ইতিবাচক। স্বাক্ষর না হলে নির্বাচনই অনিশ্চিত হত। এটি দলের অগ্রগতি।” ঢাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরকে যুগান্তকারী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসানো বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। নাগরিকদের কাছে সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।”

এদিকে, ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করা ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানো হয়েছে এবং ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। এই সময়ের মধ্যে স্বাক্ষর করার সুযোগ থাকছে এনসিপি ও অন্যান্য দলগুলোর জন্য। বিশ্লেষকরা মতপার্থক্য দূরে রেখে সকল দলকে স্বাক্ষর করার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংস্কার বাস্তবে রূপ পায়।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ