ভোটের আগে-পরে আটদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাখার প্রস্তাব

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে-পরে আটদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোট নিশ্চিত করতে ইসি এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করছে। ঢাকা আগারগাঁওয়ে বৈঠকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অপব্যবহার রোধ ও ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের আগে ও পরে মোট আটদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রাখার প্রস্তাব উঠেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে নির্বাচনী নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি-সংক্রান্ত দিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শুরুতে কমিশনের পরিকল্পনা ছিল ভোটের আগে ও পরে মোট পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাখার। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আটদিন মোতায়েনের প্রস্তাব আসে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব আরও জানান, ভোটের আগে তিনদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের চারদিন মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তিনি বলেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, কোনো বাহিনী সংশয় প্রকাশ করেনি। তবে পুরো নিরাপত্তা পরিকল্পনা নির্ভর করছে নির্বাচনী বাজেটের ওপর। বাজেট অনুমোদনের পর বিস্তারিত কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আটদিনের জন্য মাঠে ছিল সশস্ত্র বাহিনী, এবং যাতায়াতের সুবিধার্থে আরও পাঁচদিন সময় নিয়েছিল তারা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মোতায়েন ছিল দশদিন।
এছাড়া, বৈঠকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধে বিশেষ নজরদারি এবং ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের সদস্যরা ব্যবহার করবেন বডি ক্যামেরা। বৈঠকে কমিশন কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা না দিলেও সার্বিক প্রস্তুতি জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।