বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রশিবির

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস ও তৎপর সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রথম তিনটির মধ্যে একটি চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্র শিবির। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম উঠে এসেছে শীর্ষ দশ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায়।
এতে আফগানিস্তানের তালিবানের পরের অবস্থান উল্লেখ করেছে ছাত্র শিবিরের নাম।
বিশ্বখ্যাত নিরাপত্তা বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক আইএইচএস জেনস গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স-২০১৩ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে।
আইএইচএস জেনসের ‘টপ ১০ মোস্ট অ্যাকটিভ নন স্টেট আর্মড গ্রুপস ইন ২০১৩’ এর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভুলুসি ন্যাশনালের নাম। দ্বিতীয় অবস্থানে আফগানিস্তানের তালিবান এবং তৃতীয় বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্র শিবির।
শীর্ষ দশ তালিকায় অন্য সন্ত্রাসী দলগুলো হচ্ছে ইরাকের আল কায়েদা,সিরিয়ার জাবাত আল নুসরা, ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, সোমালিয়ার আল শাবাব, ফিলিপিন্সের নিউ পিপলস আর্মি, কলম্বিয়ার ফার্ক ও নেপালের ইউনিফাইড কমিউনিস্ট পার্টি।
২০১৩ সালে সারা বিশ্বে সংঘটিত জঙ্গি ও অ-জঙ্গি সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী ঘটনা প্রবাহ ও সহিংসতার পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রণয়ন করেছে জেনস।
শিবিরের প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে- মূলতঃ বাংলাদেশে ২০১৩ সাল জুড়েই ছিলো শিবিরের তাণ্ডব।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৭১ এ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গেও ছিলো এই শিবিরের সম্পর্ক। সেসময় সংগঠনটি ছাত্রসংঘ নামে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরে ইসলামী ছাত্র-শিবির নাম নিয়ে এই দলটি বাংলাদেশ জুড়ে সহিংসতার রাজনীতি ছড়িয়েছে।
২০১৩ সালের গোড়ার দিকে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হওয়ার পর থেকেই সহিংস রূপ দেখাতে শুরু করে শিবির।
যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণা এবং কাদের মোল্লার ফাঁসিকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে প্রতিদিনই তাদের হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ। গত এক বছরে তাদের সহিংস হামলায় নিহত হয় অসংখ্য মানুষ।
শিবির পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে, পুলিশের মাথা ইট দিয়ে থেতলে দিয়ে, গায়ে আগুন জ্বালিয়ে হত্যা করেছে।
তালিকা প্রণয়নের সময় আইএইচএস জেনস এ বিষয়গুলোই বিবেচনায় নিয়েছে।
বিশ্বে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক থিংকট্যাংক হিসেবে আইএইচএস জেনস একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।