হার্পিস শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, এটি দ্রুত শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ না করলে জীবনকে জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে !

হার্পিস শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, এটি দ্রুত শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ না করলে জীবনকে জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে !
ছবির ক্যাপশান, হার্পিস শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, এটি দ্রুত শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ না করলে জীবনকে জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে !
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

আজকের ব্যস্ত জীবনে শারীরিক সুস্থতার প্রতি সচেতন থাকা জরুরি। অনেক সময় আমরা ছোট ছোট ফোস্কা বা চুলকানি অবহেলা করি, অথচ তা হার্পিস ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে। হার্পিস শুধু ত্বককে প্রভাবিত করে না- এটি দৃষ্টি, শ্রবণশক্তি, গর্ভস্থ শিশু এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মুখ বা যৌনাঙ্গে হঠাৎ ফোস্কা, জ্বালা বা ব্যথা দেখা দিলে এটিকে ছোটখাটো রোগ হিসেবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। সময়মতো সচেতনতা ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে হার্পিসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়।

হার্পিস কী?

হার্পিস (Herpes) হলো ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা মূলত Herpes Simplex Virus (HSV) দ্বারা হয়। এটি দুই প্রকারে দেখা যায়:

◑ HSV-1: সাধারণত মুখ বা ঠোঁটে ফোস্কা বা ঘা সৃষ্টি করে, যাকে "Oral Herpes" বলা হয়।

◑ HSV-2: যৌনাঙ্গে ফোস্কা বা ঘা সৃষ্টি করে, যা "Genital Herpes" নামে পরিচিত।

একবার সংক্রমিত হলে ভাইরাস শরীরে থেকে যায় এবং বিভিন্ন কারণে পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।

সংক্রমণের কারণ- হার্পিস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রধান কারণগুলো হলো:

⇨ অরক্ষিত যৌন মিলন

⇨ চুম্বন বা ওরাল সেক্স

⇨ সংক্রমিত ব্যক্তির লালা, ক্ষত বা শরীরের তরলের সংস্পর্শ

⇨ একই তোয়ালে, রেজার বা লিপস্টিক ব্যবহার

⇨ একবার সংক্রমিত হলে ভাইরাস বারবার সক্রিয় হতে পারে

লক্ষণ

⇨ ছোট ছোট পানিভরা ফোস্কা (blisters)

⇨ চুলকানি, জ্বালা ও ব্যথা

⇨ জ্বর, দুর্বলতা বা লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া

⇨ বারবার পুনরায় ফোস্কা তৈরি হওয়া

ভয়াবহ পরিণতি-

⇨ হার্পিস জোস্টার ত্বকের বাইরে চোখ ও কানেও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে

⇨ দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে

⇨ নবজাতক ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি

⇨ এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়

⇨ Herpes encephalitis মস্তিষ্কে ছড়িয়ে গেলে প্রাণঘাতী হতে পারে

প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রণ

☞ ডাক্তারি পরামর্শ: অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ (Acyclovir, Valacyclovir)

☞ সংক্রমণ প্রতিরোধ: অরক্ষিত যৌন সম্পর্ক এড়ানো, ব্যক্তিগত সামগ্রী শেয়ার না করা

☞ স্বাস্থ্যকর জীবনধারা: পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, সুস্থ খাদ্যাভ্যাস

☞ উপসর্গ দেখা মাত্র চিকিৎসা শুরু করা

হার্পিসকে ছোটখাটো রোগ মনে করা বিপজ্জনক। মুখ বা যৌনাঙ্গে হঠাৎ ফোস্কা, জ্বালা বা ব্যথা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হার্পিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ