এই ১৫ কর্মকর্তার আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন জানান, শুনানি শেষে তাঁদের সাবজেলে রাখা হবে। পরে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বলেন, সেনানিবাসের সাবজেলে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ট্রাইব্যুনাল। একই দিনে প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, যাঁদের একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। পরদিন, ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে ঢাকা সেনানিবাসের ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে।

বুধবার সকাল ৭টার পর এই কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

যাঁদের সাবজেলে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।