দক্ষিণ চীন সাগরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ চীনের
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। চীন অভিযোগ করেছে, অস্ট্রেলিয়া তাদের সামরিক বিমান দিয়ে চীনা আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং এ ঘটনার সত্যতা গোপন করছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং বিন বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বিমান চীনের আকাশসীমায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছে এবং এই গুরুতর অনুপ্রবেশের ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়া।” তিনি জানান, এই ঘটনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং।
জিয়াং আরও অভিযোগ করেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তা প্রকৃত ঘটনাকে বিকৃত করছে এবং উল্টোভাবে চীনের ওপর দায় চাপাচ্ছে। তিনি অস্ট্রেলিয়াকে আহ্বান জানান, তাদের নৌ ও বিমানবাহিনীর সামনের সারির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে, যাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
চীনের এই প্রতিক্রিয়া আসে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একদিন পরের বিবৃতির জবাবে। অস্ট্রেলিয়া জানায়, গত ১৯ অক্টোবর দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের বিমানবাহিনীর একটি টহল বিমানের কাছাকাছি চীনা বিমান “বিপজ্জনকভাবে ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করেছে।” অস্ট্রেলিয়া দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ওই অঞ্চলে নিয়মিত সামুদ্রিক নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে, তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি ঘটনাটি দক্ষিণ চীন সাগরের কোন অংশে ঘটেছে।
অন্যদিকে, চীন দাবি করেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তাদের শিশা দ্বীপপুঞ্জের (ইংরেজিতে Paracel Islands) আকাশসীমায়, যা তারা নিজেদের সার্বভৌম এলাকা বলে মনে করে। দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে চীনের উত্তেজনা চলছে। এই সাম্প্রতিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এ ধরনের ঘটনা দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক টহল কার্যক্রম ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।