আমীর খসরু বলেন, “এই সরকারই নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। তাই যাঁরা বিতর্কিত বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁদের সরকারে থাকা উচিত নয়। কারণ তাঁদের উপস্থিতি সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে।” তিনি অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই এই সরকার সম্মানের সঙ্গে নিরপেক্ষ অবস্থানে যাক। তবে কিছু উপদেষ্টার কার্যকলাপ সেই প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করছে।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের ভেতরে ও বাইরে কিছু ব্যক্তির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব ব্যক্তি থেকে প্রভাবমুক্ত না হলে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব নয়। তিনি উল্লেখ করেন, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগে প্রভাব বিস্তার করেছেন, যা নিরপেক্ষতার পরিপন্থী।

আমীর খসরু বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চরিত্র হলো পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকা। সংবিধানেও তা বলা আছে। তাই এখন থেকেই সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সেই নিরপেক্ষতার প্রতিফলন থাকতে হবে। এই মুহূর্তে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “নিরপেক্ষতা হচ্ছে নির্বাচনের প্রথম পূর্বশর্ত। নিরপেক্ষতা না থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং অশুভ শক্তি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন নেতা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।