হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, বুদাপেস্টে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুতিনের সঙ্গে তাঁর মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে। এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান যুদ্ধরেখা স্থির রেখে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিচ্ছে, অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চল খালি করার শর্ত দিচ্ছে। এই মৌলিক বিরোধের কারণেই শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেছে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি চান, যাতে মানবিক বিপর্যয় কমে এবং যুদ্ধের চক্র বন্ধ হয়। তাঁর প্রস্তাব, “যেখানে লড়াই চলছে, সেখানে রেখা টেনে থামো, ঘরে ফিরে যাও।” তবে রাশিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি অস্থায়ী সমাধান, স্থায়ী শান্তির পথ নয়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, স্থায়ী শান্তির জন্য দনবাসে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকৃতি ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিরস্ত্রীকরণ অপরিহার্য, যা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অগ্রহণযোগ্য।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন, দনবাসের যেসব অঞ্চল কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তা কোনো অবস্থাতেই ছাড়বেন না। ফলে স্পষ্ট হচ্ছে, শান্তি প্রক্রিয়া আবারও অচলাবস্থায় পড়েছে এবং ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে নতুন সমঝোতার সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।