জাতীয় নির্বাচনে ২৫০ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত

জাতীয় নির্বাচনে ২৫০ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দ্রুতগতিতে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। দলটি চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই প্রায় ২৫০ আসনে একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ-সংক্রান্ত তথ্য হাইকমান্ড থেকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী বাছাইয়ে এবার সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সমন্বয় বজায় রাখাকে। তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, আগেভাগে প্রার্থী নির্ধারণ করা গেলে তৃণমূল পর্যায়ের বিরোধ ও বিভাজন কমে আসবে। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে একক প্রার্থীদের আগে থেকেই মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে জোটভুক্ত দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণা করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মনোনয়নপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি গুলশান কার্যালয়ে মাগুরা, চট্টগ্রাম ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের হাইকমান্ড। এসব এলাকায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেট বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রচারণা কৌশল ও সংগঠনগত ঐক্য বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকা বিভাগ ছাড়া দেশের প্রায় সব বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা বিভাগের আসনভিত্তিক প্রার্থীদেরও ডাকা হবে। মির্জা ফখরুল এক সাক্ষাৎকারে জানান, এবার প্রার্থী নির্বাচনে তরুণ ও নারী প্রার্থীদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এলাকায় সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীরাই মনোনয়ন পাবেন। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী জানিয়েছেন, প্রতিটি আসনে ৪-৫ জন প্রার্থী থাকলেও যাচাই শেষে ২-৩ জনকে ডাকা হয়। সভায় মহাসচিব একক প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের নির্দেশনা দেন। সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছও জানান, বৈঠকে জানানো হয়েছে প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে।

এদিকে বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটির একক প্রার্থীকে ইতোমধ্যে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, বগুড়া-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনে মীর শাহে আলম, বগুড়া-৩ আসনে আবদুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন এবং বগুড়া-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। বাকি দুটি আসন বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ জিয়া পরিবারের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির একক প্রার্থীকে মাঠে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা জানিয়েছেন, তিনি ইতোমধ্যে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন। একইভাবে সাতক্ষীরা, নাটোর ও ঢাকার কয়েকটি আসনেও একক প্রার্থীদের মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি এবার তরুণ প্রার্থীদেরও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জেন-জি ও নতুন প্রজন্মের ভোট বিবেচনায় বেশ কয়েকটি আসনে তরুণ নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের উদাহরণ টেনে এক নেতা বলেন, ক্লিন ইমেজধারী ও কর্মীবান্ধব তরুণ নেতাদের প্রার্থী করা হলে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের বিজয় আরও সম্ভাবনাময় হবে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ