মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও অপর আসামিদের বিচারের মুখোমুখি না করা হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের প্রতি অবিচারের প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে। আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাসের মুখোমুখি হয়ে ভীত ও অনিশ্চিত অবস্থায় পড়বে।
অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি তুলে ধরে উল্লেখ করেন, “আমি বিশ্বাস করেছিলাম শেখ হাসিনা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবেন, কারণ তিনি নিজেই একসময় বলেছিলেন, সাহস থাকলে বিচারের মুখোমুখি হন। কিন্তু তিনি তা বাস্তবে দেখাননি।” তিনি আদালতের প্রতি আহ্বান জানান, অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।
প্রসিকিউশন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ মামলায় উপস্থাপিত সাক্ষ্য ও প্রমাণ-পত্রগুলো যেকোনো আদালতে অভিযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি, চিকিৎসক ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে, জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যা, গুম-খুন ও নির্যাতনের নানা ঘটনা।
রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজের সাক্ষ্যে গণহত্যাকালে ঘটে যাওয়া প্রধান ঘটনাবলি ও নির্দেশদাতাদের ভূমিকা বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। প্রসিকিউশন পক্ষ জানায়, এই সাক্ষ্য ও দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে সেটিই হবে ন্যায়বিচারের প্রকৃত প্রতিফলন।
শুনানির শেষে ট্রাইব্যুনাল কক্ষে জানানো হয়, উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায়ের দিন ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনাল আশ্বস্ত করেছে যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী, উভয় পক্ষের জন্যই।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।