সাক্ষাৎকালে জেনারেল মির্জা দুই দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান আরও জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে ইতোমধ্যেই দুইমুখী নৌপথ চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশপথও চালু করা হবে।

দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার এবং ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও মতবিনিময় করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।