তুরস্কে শান্তির ইঙ্গিত দিয়ে যোদ্ধাদের ইরাকে সরিয়ে নিচ্ছে পিকেকে
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
তুরস্ক থেকে নিজেদের সব যোদ্ধাকে উত্তর ইরাকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। তুরস্ক সরকারের সঙ্গে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গোষ্ঠীটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পিকেকের অস্ত্র সমর্পণ ও নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবসান ঘটছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রবিবার উত্তর ইরাকের কানদিল এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিকেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, তারা তুরস্কের অভ্যন্তরে থাকা সব যোদ্ধাকে প্রত্যাহার করছে। গোষ্ঠীটি অনলাইনে একটি ছবি প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় ২৫ জন যোদ্ধা তুরস্ক থেকে কানদিল অঞ্চলে এসে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে আটজন নারী যোদ্ধা।
পিকেকের এই ঘোষণা তুরস্ক সরকার ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মুখপাত্র ওমের চেলিক বলেন, এই পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ‘কৌশলগত ও ঐতিহাসিক উদ্যোগ’।
১৯৭৮ সালে আবদুল্লাহ ওজালানের নেতৃত্বে পিকেকে গঠিত হয়, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। ১৯৮৪ সালে তারা প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে, যা কয়েক দশকের সংঘাত ও প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়।
চলতি বছরের মে মাসে পিকেকে যুদ্ধবিরতি ও নিরস্ত্রীকরণের ঘোষণা দেয়। ওজালানের কারাগার থেকে দেওয়া আহ্বানে সাড়া দিয়েই সংগঠনটি শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুলাইয়ে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের দুকান শহরের যাসানা এলাকায় একটি গুহায় প্রথম দফায় যোদ্ধারা অস্ত্র ধ্বংস করে। রবিবারের পদক্ষেপটি সেই প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।