ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের নেতারা এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত।
ট্রাম্প এই চুক্তিকে “অসম্ভবকে সম্ভব করার উদাহরণ” হিসেবে বর্ণনা করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চর্নভিরাকুল একে “টেকসই শান্তির ভিত্তি স্থাপনকারী পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেত বলেন, “এটি আমাদের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন।”
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডিয়ান সৈন্যকে মুক্তি দেবে এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র ও স্থলমাইন অপসারণ করবে। পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণের জন্য মালয়েশিয়ার সেনারা সীমান্তে মোতায়েন থাকবে। এই পদক্ষেপকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে ১৯০৭ সালের ফরাসি উপনিবেশিক যুগ থেকে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি লাওস সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চল এবং প্রাচীন আংকর সাম্রাজ্যের মন্দির এলাকাকে ঘিরে নতুন করে সংঘাত দেখা দেয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে পৃথক বাণিজ্য চুক্তিও সম্পন্ন করেন। এসব চুক্তির আওতায় তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যে শুল্ক প্রতিবন্ধকতা কমাতে সম্মত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ১৯ শতাংশ আমদানি শুল্ক অপরিবর্তিত থাকবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।