নোয়াখালীতে ঘুমন্ত মাদরাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যা
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ফুটবল খেলা নিয়ে পূর্বের তর্কের জের ধরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক মাদরাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক কক্ষে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩)। তিনি চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্র আবু ছায়েদ (১৬)–কে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিম ও ছায়েদ দুজনেই ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং কোরআনের হাফেজ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ফুটবল খেলা ও টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু ক্ষোভের বশে আবু ছায়েদ সোনাইমুড়ী বাজার থেকে একটি ধারালো ছুরি ক্রয় করে। শনিবার রাতে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে নাজিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে সে। নাজিমের চিৎকারে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষক জেগে উঠে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ভোররাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও জব্দ করা হয়েছে। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, টুপি পরা ও খেলাকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্রের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।