এ বিষয়ে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলি দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের সম্পূর্ণ অবসান ঘটলে তারা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি-র খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে দুই বছরের সংঘাতের সমাপ্তি ঘটাতে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট করে জানান, দখলদারত্বের অবসান ঘটলেই হামাসের অস্ত্রগুলো রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তবে খলিল আল-হাইয়া কোন ‘রাষ্ট্রের’ কথা উল্লেখ করেছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। 

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে হামাস দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে যে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি গাজা উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি দলটি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাস জোর দিয়ে বলেছে, একমাত্র একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের যোদ্ধাদের সামরিকায়ন করা হবে।

অন্যদিকে, হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। তবে এই সমঝোতার মধ্যেও তারা অস্ত্র সমর্পণের বিষয়ে রাজি হয়নি।

সম্প্রতি কায়রোতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গাজায় সক্রিয় অন্যান্য সংগঠনগুলোও এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন কোনো ধরনের প্রশাসনিক শূন্যতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য তারা অবিলম্বে কাজ শুরু করবে।