মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি
৯৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছে মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় দগ্ধ নাভিদ
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাভিদ ৩৬টি অস্ত্রোপচার এবং দীর্ঘ ৯৭ দিন চিকিৎসা শেষে অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। গত ২১ জুলাই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হওয়ার পর ৯৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নাভিদের শরীরের প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সিএমএইচ থেকে পরদিন তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকদের দুই দফায় তার পরিবারকে দুঃসংবাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। এরপরও চিকিৎসকদের নিবিড় প্রচেষ্টায় তিনি ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফেরেন।
তিনি আরও বলেন, নাভিদ মোট ২২ দিন আইসিইউতে ছিলেন, যার মধ্যে ১০ দিন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয়। এরপর ৩৫ দিন হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) এবং পরবর্তী ৪০ দিন কেবিনে চিকিৎসা নেওয়ার পর অবশেষে তিনি ছাড়পত্র পান। তার মোট ৩৬টি ছোট-বড় সার্জারি হয়েছে এবং ৮ বার চামড়া প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত অন্য কোনো দগ্ধ রোগীর এতগুলো অস্ত্রোপচার লাগেনি বলে জানান তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর নাভিদের ফুসফুসে পানি জমেছিল, এজন্য লাইফ সাপোর্টে উপুর করে শুইয়ে চিকিৎসা দিতে হয়েছে, যা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ৩১ জন প্রাণ হারান এবং আরও ৫১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে দগ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থী বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।