আসিয়ানের নতুন সভাপতি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস
 
                                        
                                    - Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন আসিয়ান (ASEAN)-এর সভাপতির দায়িত্ব ফিলিপাইনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো’ সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম প্রতীকীভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিন্যান্দ মার্কোস জুনিয়রের হাতে। যদিও চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে। আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, “২০২৬ সালের প্রথম দিনে আসিয়ান একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে।”
ফিলিপাইনের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে জটিল আঞ্চলিক বিরোধ আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনাম, এই চারটি আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে। ২০১৬ সালের আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ফিলিপাইনের দাবিকে স্বীকৃতি না দিলেও চীনের সঙ্গে দেশটির বিরোধ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বেইজিং ও ম্যানিলার মধ্যে সামুদ্রিক উত্তেজনা নিয়মিত সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে।
আসিয়ান ও চীনের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলে আচরণবিধি প্রণয়নের আলোচনাও চলছে, যার লক্ষ্য আগামী বছরের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা। কুয়ালালামপুর সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মার্কোস বলেন, “যদি আমরা সহযোগিতা ও অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি, তবে দক্ষিণ চীন সাগরে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন সম্ভব।”
ম্যানিলা-ভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডন ম্যাকলেইন গিল মনে করেন, ফিলিপাইন আসিয়ান সভাপতির দায়িত্বে সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেবে। তবে চীনের অংশগ্রহণে কোনো চুক্তি হলে সেটি কার্যকারিতায় দুর্বল হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফিলিপাইন উত্তেজনা প্রশমনে এবং চীনের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধিতে মনোযোগী থাকবে। সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্র আবহাওয়া ও মাছ ধরার ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে ফিলিপাইন মিয়ানমার সংকট নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। সোলারিস স্ট্র্যাটেজিজ সিঙ্গাপুরের বিশ্লেষক মুস্তাফা ইজ্জুদ্দিনের মতে, “ফিলিপাইন সরকারের জন্য দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুটি যেন আসিয়ানের অন্যান্য অগ্রাধিকারের ওপর ছায়া ফেলতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করাই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ।”
আগামী ২৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আসিয়ান এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, তবে পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাইলে নিজস্ব পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে। ম্যানিলা নেতৃত্বে আসিয়ান এখন মিয়ানমারের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার কৌশল নির্ধারণে কাজ করবে, যার মধ্যে জান্তা নেতাদের আঞ্চলিক বৈঠকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানোর প্রশ্নও বিবেচনায় রয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।
 
                                 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                                        
                                                    