নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আসলে তা প্রত্যাহার, আটক যানবাহন ফেরত এবং চার্জিং গ্যারেজে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের দাবিতে মঙ্গলবার রাজপথে নেমেছিলেন হাজারো অটোরিকশাচালক । এ সময় তারা হাতে লাল কাপড় ও ব্যানার নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজপথ দখল করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রায় অচল হয়ে পড়ে, চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সমাবেশে অটোরিকশাচালকদের মুখে একটই স্লোগান ওঠে “রিকশা ফিরিয়ে দাও, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করো।”
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অটোরিকশাচালকরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সিলেট জেলা রিকশা–ভ্যান–ইজিবাইক অটোরিকশাচালক ইউনিয়নের ব্যানারে ১১ দফা দাবি নিয়ে তারা মিছিলাকারে চৌহাট্টা ও জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থান নেন। তারা তাদের কর্মসূচী বিকেল পর্যন্ত চালালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে নগরী প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
অটোরিকশাচালকরা অভিযোগ করেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। প্রশাসনের আকস্মিক অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
এদিকে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে রাখায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনা সদস্য চৌহাট্টা এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা অটোরিকশাচালকদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ জানালেও বিকাল পর্যন্ত অটোরিকশাচালকরা রাজপথ না ছাড়েন।
চৌহাট্টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত অন্যায় ও অমানবিক। এটি প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
রিকশা–ভ্যান–ইজিবাইক অটোরিকশাচালক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মাসরুখ জলিল বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা পরিবেশবান্ধব ও নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম। ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও রিকশাচালকরা ভূমিকা রেখেছেন; এমনকি ২৪ জন চালক জীবন দিয়েছেন। অথচ আজ তাদের জীবিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা অন্যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের উচিত ছিল বিআরটিএর মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইসেন্স প্রদান করা, নিষেধাজ্ঞা নয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।