সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে একজন গ্রাহকের নামে থাকা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভেঙে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসার পর তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং আরো দুটি বড় অঙ্কের জালিয়াতির চেষ্টা সফলভাবে প্রতিহত করেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে গত পরশু একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।‘

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর)। সেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে একজন গ্রাহক ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন। গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব ছিল অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখায়। চার দিনের ব্যবধানে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) ওই সঞ্চয়পত্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে ভাঙানো হয়।
তারপর টাকাটি এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ওই ব্যক্তি একই দিনে ব্যাংকটির শ্যামলী শাখা থেকে পুরো অর্থ তুলে নেন।

একই দিনে একই পদ্ধতিতে আরো দুটি সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি ছিল ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা এবং অন্যটি এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তৎপরতায় এবং দ্রুত ব্যবস্থার কারণে ওই দুটি বড় অঙ্কের জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হয়।


উল্লেখ্য, সঞ্চয়পত্রের সার্ভার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই চিহ্নিত প্রতারণাগুলো সার্ভার হ্যাকের মাধ্যমে করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসেই এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যান্য শাখা বা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশে সঞ্চয়পত্রে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিসের প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে এসব সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ভাঙানো হয়।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ