সুদানে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি জড়িত

সুদানে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি জড়িত
ছবির ক্যাপশান, সুদানে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি জড়িত
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধের পেছনে ভেতরে ও বাইরে নানা শক্তির জটিল সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হচ্ছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটির শাসনক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী ‘র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস’ (আরএসএফ)-এর মধ্যে। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বিদেশি সহায়তা পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে। জাতিসংঘ শুরু থেকেই সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানালেও তা কার্যকর হয়নি। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এই সংঘাতে ভেতরে ও বাইরে কারা জড়িত তা বিশদভাবে তুলে ধরেছে।

সুদানের সেনাবাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর প্রতিপক্ষ আরএসএফের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদ হামদান দাগলো। ২০১৯ সালে ওমর আল-বশির সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ২০২১ সালে বুরহান ও দাগলো যৌথভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বই ২০২৩ সালের এপ্রিলের সংঘর্ষে রূপ নেয়। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বুরহানের সেনাবাহিনী বর্তমানে পোর্ট সুদান থেকে দেশ পরিচালনা করছে, অন্যদিকে আরএসএফ দারফুরের নিয়ালা শহরে বিকল্প প্রশাসন গড়ে তুলেছে।

বাহ্যিকভাবে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, চাদ, তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া ও কেনিয়া এই সংঘাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। মিশর প্রকাশ্যে বুরহানকে সমর্থন দিয়েছে এবং তাঁকে বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি জানিয়েছে। অপরদিকে, আমিরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা আরএসএফকে অস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা দিয়ে সহায়তা করছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত প্রমাণও পাওয়া গেছে। লিবিয়ার নেতা খলিফা হাফতারও আরএসএফকে অস্ত্র ও জ্বালানি সরবরাহ করছেন বলে দাবি করেছে সুদানের সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে, চাদের প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস দেবে’র সরকারকে আরএসএফের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছে বুরহানের বাহিনী। তুরস্ক শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং আরএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার সহায়তাও দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে। ইরানও সম্প্রতি সুদানের সেনাদের ড্রোন সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করেছে আরএসএফ। রাশিয়ার সঙ্গে সুদানের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তিও পুনরায় সক্রিয় হয়েছে। এছাড়া কেনিয়ার বিরুদ্ধেও আরএসএফকে অস্ত্র সহায়তা ও ট্রানজিট সহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে সেনা-সমর্থিত সরকার।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ