আরএসএফের দখলে দুই হাজারেরও বেশি নাগরিক নিহত
 
                                        
                                    - Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ অবরোধ ও যুদ্ধের পর এল ফাশার শহরটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর দখলে চলে গেছে। এর মাধ্যমে বিশাল দারফুর অঞ্চলের প্রতিটি রাজ্য রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ এখন আরএসএফের হাতে চলে গেছে।
সেনাবাহিনীর সহযোগী যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরএসএফ এল ফাশার শহরে “নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধ সংঘটিত করেছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ ও ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র নাগরিককে “গুলি করে হত্যা” করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।
যাচাইকৃত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার জন্য পরিচিত এক যোদ্ধা মাটিতে বসা একদল নিরস্ত্র মানুষকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, আরএসএফ পরিকল্পিতভাবে ফুর, জাঘাওয়া ও বেরতি এই তিনটি আদিবাসী অ-আরব জনগোষ্ঠীর ওপর জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও নির্বিচার হত্যার মাধ্যমে “পদ্ধতিগত ও উদ্দেশ্যমূলক জাতিগত নির্মূল” চালাচ্ছে।
এতে শহরের ভেতরে “বাড়ি-ঘর ঘুরে ঘুরে অভিযান” চালানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় সংগঠন ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো আগে থেকেই সতর্ক করেছিল যে, এল ফাশার পতন হলে শহরের নিরীহ বাসিন্দাদের ওপর গণহত্যার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এল ফাশারে বেড়ে চলা সহিংসতায় “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন” এবং “যুদ্ধরত সব পক্ষকে পরিস্থিতি প্রশমিত করার আহ্বান জানিয়েছে।”
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।
 
                                 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                                        
                                                    