গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গণভোট আয়োজনের সময় নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আদেশ জারির পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন অথবা তার আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
বিএনপি স্পষ্ট জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত তারা মানবে না। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল নভেম্বরের মধ্যেই জুলাই সনদের ওপর গণভোট চায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, গণভোটের সময় নির্ধারণে দুটি বিকল্প নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর দেশে তিনবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে প্রথম গণভোট হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে, ১৯৮৫ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, আর সর্বশেষ ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর সংসদীয় পদ্ধতি চালুর বিষয়ে গণভোট হয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ছয় মাস পরে।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের সময় নির্ধারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা কেবল সহায়তা করব। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গণভোটের সময় নির্ধারণ এখন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।