আজ রোববার (২ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে এ আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হাসিব ছিলেন একজন আদর্শবান, নির্লোভ ও সংগ্রামী ছাত্রনেতা। ছাত্ররাজনীতিতে তার অবদান এবং সহনশীল মনোভাব শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ও  শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “হাসিবের মধ্যে কোনো অহংকার বা অহমিকা ছিল না। সে ছিল একজন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা। দেশের জন্য, মানুষের জন্যই তার লড়াই ছিল। আমরা সবাই যেন হাসিবের মতো নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে পারি—এই দোয়া করি।”

সহকারী প্রক্টর মেহেদি হাসান জুয়েল বলেন, “ভদ্র, মার্জিত ও আদর্শ রাজনীতির যে দৃষ্টান্ত আমরা খুঁজি, হাসিব ছিল তার বাস্তব উদাহরণ।”

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব বলেন,“হাসিব ভাইয়ের জন্য দোয়া করতে হবে। তার ভিন্নমত গ্রহণ করার মানসিকতা ছাত্রসমাজের জন্য অনুপ্রেরণা।”

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন,“জুলাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে হাসিবকে পাশে পেয়েছি। তার মতো সাথীকে হারানো আমাদের জন্য গভীর কষ্টের। তার জন্য দোয়া করা মানেই তার প্রতি আমাদের ঋণ কিছুটা শোধ করা।”

জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন,“আমাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধনের চেয়েও শক্তিশালী ছিল আদর্শের বন্ধন। দুঃসময়ে পাশে থাকা যোদ্ধাদের একজন ছিল হাসিব।”

হাসিবের বড় ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ নাইম বলেন,“আমার ভাই আমার সাহস ছিল। আমি অন্যায় করলে সে আমাকে ফিরিয়ে আনত। নিজের জীবনের ত্যাগ দিয়ে পরিবার ও আদর্শ দুটোই ধরে রেখেছিল। আমি চাই—আর কেউ যেন এভাবে ভাই না হারায়। "

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান, ও তৌহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রিমন হোসেন। দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে স্মরণসভা সমাপ্ত হয়। এতে ভোলা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, হাসিবুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায়।