হালিমাতুস সাদিয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে। এবারের বিজেএস পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। হালিমাতুস সাদিয়ার পাশাপাশি ৪৭তম স্থান অধিকার করেছেন সুব্রত পোদ্দার এবং ৫২তম স্থানে রয়েছেন নূর-ই-নিশাত।



 

এর আগে টানা চারবার বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৩তম বিজেএসে শিউলী নাহার, ১৪তম বিজেএসে সুমাইয়া নাসরিন, ১৫তম বিজেএসে আশিক উজ জামান এবং ১৬তম বিজেএসে নুসরাত জাহান প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তবে এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিকতা ভেঙে প্রথম হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হালিমাতুস সাদিয়া।

হালিমাতুস সাদিয়া তাঁর সাফল্য সম্পর্কে বলেন, ‘এই অর্জন শুধু আমার একার নয়; এটি আমার মা–বাবা, শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সমর্থনের ফল। সবচেয়ে আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে আমি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালনের জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’

৫২তম স্থান অধিকারী নূর-ই-নিশাত বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। আমার সফলতার পেছনে মা–বাবা ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সবাই চান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে বিচারালয়। আমি সে রকম একটি চাকরিতে যোগদান করতে চলেছি। আমার প্রথম ব্রত হবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থাকা।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শূচিতা শরমিন এই সাফল্যে অভিভূত ও আনন্দিত বলে জানান। তিনি বলেন, ‘দারুণ একটি সুসংবাদ পেয়ে আমরা অভিভূত ও অত্যন্ত আনন্দিত। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গায় যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম। তারই উদাহরণ সহকারী জজে চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করা।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম বলেন, ‘এই ফলাফলে আমরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত।’

এবারের বিজেএস নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১০২ জনকে সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই অসাধারণ সাফল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে যোগ হয়েছে।