চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

লাইব্রেরির ১০০ মিটারের মধ্যেই উচ্চস্বরে গান শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

লাইব্রেরির ১০০ মিটারের মধ্যেই উচ্চস্বরে গান শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • Author, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আশপাশ যেন এখন পড়াশোনার জায়গার চেয়ে বিনোদনের কেন্দ্রেই পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত মুক্তমঞ্চ ও জারুলতলায় আয়োজন হচ্ছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত তিনটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে যা লাইব্রেরীতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তীব্র সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপগুলোতে অনেকেই লাইব্রেরি সংলগ্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের বিরোধিতা করে পোস্ট দিচ্ছেন।

ইংরেজি বিভাগের এক  শিক্ষার্থী বলেন ,“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সঙ্গে আমাদের গ্রন্থাগারটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম । প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করতে আসে, কিন্তু প্রায়ই লাইব্রেরির পাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ায় পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে।”

তিনি আরও বলেন ,“আমি সংস্কৃতিমনা মানুষ হিসেবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরোধী নই। কিন্তু যে স্থানে শিক্ষার্থীরা নিরিবিলি পরিবেশে পড়তে আসে, সেখানে উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা।”

আরেকজন শিক্ষার্থী জানান,“লাইব্রেরির পাশেই এসব প্রোগ্রাম হওয়া উচিত নয়। শুধু বাইরে নয়, ভিতরেও শব্দ ঢুকে যায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগের বিঘ্ন ঘটায়।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বলেন,“লাইব্রেরির পাশের মুক্তমঞ্চ থেকে উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। বিষয়টি আমরা চাকসুর সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পাদকসহ প্রশাসনের নজরে এনেছি, যাতে দ্রুত সমাধান হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী বলেন,“আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। মুক্তমঞ্চে শব্দ করে অনুষ্ঠান হওয়ায় লাইব্রেরির পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছি।আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারবে। নাট্যকলা বিভাগের প্র্যাকটিসের বিষয়টিও মাথায় রেখে দ্রুত সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করা হবে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ