ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই নেতা ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী প্রেরণের ধারণায় অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। তবে মাখোঁ বিশেষভাবে জোর দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কিয়েভের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে চলতি বছরের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে এবং রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থানের আশঙ্কার মধ্যেই ট্রাম্প-মাখোঁ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

মাখোঁ স্পষ্ট করে বলেন, "এই শান্তির অর্থ ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ নয়।" তিনি আরও যোগ করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ট্রাম্পের যৌক্তিক কারণ রয়েছে। তবে তিনি এও সতর্ক করে দেন যে, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী প্রেরণের যেকোনো উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অপরিহার্য।

মাখোঁ বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সামনে এগোনোর পথ রয়েছে।"

এই বৈঠকের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও আলোচনায় এসেছে। গতকালই জাতিসংঘে রাশিয়ার পাশে দুই দফায় ভোট দিয়েছে ওয়াশিংটন। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে মস্কোর নিন্দা জানানোর বিষয়টিও এড়িয়ে গেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে মাখোঁর বক্তব্য ইউক্রেন সংকটে পশ্চিমা জোটের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে।

মাখোঁর এই সতর্কবার্তা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইউক্রেন সংকটের সমাধান নিয়ে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।