রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টার আশাবাদ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রমজান মাস শেষে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল, ডাল, চিনির সরবরাহ নিশ্চিত করতে। চিনির দাম ইতিমধ্যে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে এসেছে। বাকি পণ্যগুলোর দামও যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে আনার চেষ্টা চলছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "সরবরাহ নিশ্চিত হলেও অনেক সময় ভোক্তারা সঠিক দামে পণ্য পায় না। এখানে বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যারা মজুতদারি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সক্রিয় রয়েছে।"
মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, "মূল্যস্ফীতি ইতিমধ্যে এক শতাংশ কমেছে। আমাদের লক্ষ্য ধারাবাহিকভাবে এটিকে কমিয়ে আনা। রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "মূল্যস্ফীতি বাড়লে জীবনযাত্রার মান কমে যায়। এবার বেশ কিছু পণ্য আমদানি করতে হয়েছে, যা আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।"
বিস্কুটের ওপর ভ্যাট কমানোর বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "বিস্কুটের দাম কমেছে, কিন্তু এ নিয়ে কেউ তেমন লেখালেখি করে না। রোজার সময় আরও কিছু পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি।"
সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।