প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারা, যাদের মধ্যে কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাও অন্তর্ভুক্ত, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীনে অপরাধসমূহ বিবেচনায় নিতে পারবেন। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো দুই মাসের জন্য এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময়সীমা ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জননিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্তকে সরকার একটি প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের সময় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।