বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়াল ৩২২ মিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়াল ৩২২ মিলিয়ন ডলার
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ৩২১.৬৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়াতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংগঠনটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো ও লজিস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে নতুন বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আবুধাবিতে ‘আবুধাবি ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ’ শীর্ষক এক বাণিজ্য আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। আবুধাবি স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

আবুধাবি চেম্বারের দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহমিজ আলী আল দাহিরি বলেন, “দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা গেলে ইউএইসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিনিয়োগ প্রাপ্তি আরও সহজতর হবে।”

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫২.৯ মিলিয়ন ও ৪০২.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, “ইউএই’র উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে ৩২১.৬৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো ও লজিস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।”

আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অফিসের হেড অব ইনভেস্টর এনগেইজমেন্ট ওমর আল হোসাইনী বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শতভাগ মালিকানা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা এখানকার বিনিয়োগ ইকো-সিস্টেমের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।”

ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও তা এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণে দুদেশের উদ্যোক্তাদের আরও সম্পৃক্ত করা জরুরি। বাংলাদেশের অবকাঠামো, লজিস্টিকস, স্থল ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন এবং টেকসই জ্বালানি খাতে আবুধাবির উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।”

বাণিজ্য আলোচনা সভা শেষে আবুধাবি চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রায় ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের বিটুবি নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে এ ধরনের আলোচনা ও নেটওয়ার্কিং সেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


সম্পর্কিত নিউজ