ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড বিল অনুমোদন করলো ইসরাইলি পার্লামেন্ট
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট (নেসেট) ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমতি সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিলের প্রথম পাঠ (ফার্স্ট রিডিং) অনুমোদন করেছে। ইসরাইলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ (কেএএন)-এর বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নেসেটের ১২০ জন সদস্যের মধ্যে ৩৯ জন আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে এবং ১৬ জন বিপক্ষে ভোট দেয়।
কট্টর-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের নেতৃত্বাধীন ‘জিউইশ পাওয়ার’ পার্টি এই আইনটি প্রস্তাব করে।
অধিবেশন চলাকালে আরব আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ এবং মন্ত্রী বেন-গভিরের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়, যা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে এবং প্রায় হাতাহাতির উপক্রম হয়।
প্রস্তাবিত এই খসড়া আইনে বলা হয়েছে, "যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা বেপরোয়া আচরণের মাধ্যমে ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা করে- এবং যদি তা বর্ণবিদ্বেষ, ঘৃণা বা ইসরাইলকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য থেকে হয়- তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।"
এই আইনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, একবার শাস্তি ঘোষিত হলে তা হ্রাস করার কোনো সুযোগ থাকবে না।
ভোটের ফলাফলের পর মন্ত্রী বেন-গভির মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) উল্লাস প্রকাশ করে লেখেন, "‘জিউইশ পাওয়ার’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং তা পূরণ করেছি। সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রথম পাঠে পাশ হয়েছে।"
অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেন-গভিরের এই উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে। সমালোচকদের মতে, এই আইনটি মূলত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে তৈরি এবং এটি ইসরাইলি শাসনব্যবস্থার বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও গভীর করবে।
ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নারী ও শিশুসহ ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কারাগারে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বন্দিরা সেখানে নির্যাতন, অনাহার এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-অবহেলার শিকার হচ্ছেন বলেও তথ্য রয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।