যে ৪টি প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, সংবিধান সংস্কার, গুম ও গণহত্যার বিচার, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। গণভোটে যে চারটি প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেবেন, তা মূলত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫-এর কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু ঘিরেই গঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রশ্নগুলো পাঠ করে শোনান।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই সনদের মূল লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনা। এ লক্ষ্যেই সরকার “জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫” জারি করেছে। ভাষণে তিনি ঘোষণা দেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উৎসবমুখর, সাশ্রয়ী এবং গণতান্ত্রিক চর্চার অনুকূল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছি।
আমি প্রশ্নটি এখন আপনাদের সামনে পাঠ করে শোনাচ্ছি। প্রশ্নটি হবে এরকমঃ
“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”
ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।”
গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।
গণভোট আয়োজনে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী রাজনৈতিক আলোচনার নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হলো আজকের এই ভাষণের মাধ্যমে।আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।