‎জকসু ভোটার তালিকায় নারী শিক্ষার্থীদের ছবি উন্মুক্ত করায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

‎জকসু ভোটার তালিকায় নারী শিক্ষার্থীদের ছবি উন্মুক্ত করায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের ভোটার তালিকায় নারী শিক্ষার্থীদের ছবিসহ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১২ নভেম্বর জকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (jnucsu.jnu.ac.bd) সকল শিক্ষার্থীর ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোস দেখা দেয় একইসাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 

‎ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। প্রতিবাদলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ১২ নভেম্বর জকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে নারী শিক্ষার্থীদের ছবিও উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

‎তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় জমা দেওয়া ছবি প্রকাশের অনুমতি তারা দেননি। এটি পর্দানশীল নারী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ধর্মীয় অধিকারের প্রতি অসম্মানজনক। শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, তালিকাটি অবিলম্বে ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে পুনরায় প্রকাশ করা হোক।

‎এদিকে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির এই ঘটনার দ্রুত সমাধান চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। 

‎আবেদন পত্রে বলা হয়েছে গতকাল  জকসু নির্বাচনের  চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে যে, যেসকল নারী শিক্ষার্থীগণ হিজাব নিকাব পরিধান করে থাকে ভোটার তালিকায় তাদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট নারী শিক্ষার্থীগণের উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তাই আমরা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে উক্ত উদ্বেগের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি এবং দাবী জানাচ্ছি সকল নারী ভোটারদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে তাদের ছবি প্রকাশ সীমিত করার।

‎বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ ইসলাম শাওন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আমি আমার বিভাগের অনেক বান্ধবীর মুখ কখনো দেখিনি, কারণ তারা ইসলামি বিধান মেনে পর্দা করেন। অথচ ভোটার তালিকায় তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি একেবারেই অনুচিত। ছবিগুলো হাইড করার ব্যবস্থা করা উচিত।”

‎আরেক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন,“জকসুর ভোটার তালিকা দেখে হতভম্ব হয়েছি। যে মেয়েরা সারাজীবন পর্দা করে, আজ তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা অন্যভাবে ভোটার যাচাই করা সম্ভব ছিল। এটা গোপনীয়তা ভঙ্গের স্পষ্ট উদাহরণ।”

‎এ বিষয়ে জকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান বলেন,শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিলো। এখন যেহেতু আবার তারা এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে খুব শীঘ্রই আমরা শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ব্যক্তিগত করে দিবো। 

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ