যুক্তরাষ্ট্রের ঘড়ি আবার চলছে , ট্রাম্পের কলমে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম অচলাবস্থা
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ওয়াশিংটনের ঠান্ডা রাত। সাদা বাড়ির আলো তখনও নিভে যায়নি। এক টুকরো কাগজে সই করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প — আর সেই সইয়ের সঙ্গে ৪৩ দিনের নীরবতা ভেঙে গেলো যুক্তরাষ্ট্রের।
“এভাবে কোনো দেশ চালানো যায় না।” সইয়ের পর প্রেসিডেন্ট বললেন,
“এটা আর কখনো ঘটতে দেওয়া যাবে না।”
এ যেন নিজের দেশকেই বোঝানোর এক তিরস্কার, ছয় সপ্তাহের স্থবিরতা, সরকারি কর্মচারীদের বেতনহীন দিন, এয়ার ট্রাফিক থেকে শুরু করে খাদ্যসহায়তা পর্যন্ত থেমে থাকা এক ব্যবস্থার অবসান।
বিলের নাম , ফান্ডিং রেজুমশন
প্রতিনিধি পরিষদে ২২২–২০৯ ভোটে পাস হয় বিলটি।
রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের পাশে, ডেমোক্র্যাটরা ক্ষুব্ধ, কারণ, ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি বাড়ানো হয়নি।
তবু বিলটি পাস হলো, কারণ দেশ থেমে থাকতে পারছিল না।
৪৩ দিন পর কাজে ফিরছে ওয়াশিংটন
আজ বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি দপ্তরগুলোয় আবার কীবোর্ডের শব্দ শোনা যাবে।
হাজারো কর্মচারী ফিরে যাবেন ডেস্কে, যেখানে কফি মগে ধুলো জমেছিল, আর ক্যালেন্ডার থেমে ছিল অক্টোবরেই।
অচলাবস্থার সেই সময়টায় দেশের জিডিপি কমেছে প্রতি সপ্তাহে ০.১%,
আর অর্থনীতি হারিয়েছে তার তাল।
আকাশে নতুন শুরু
থ্যাংকসগিভিং আসছে, এয়ারপোর্টগুলো আবার নড়ছে, ফ্লাইটগুলো ফিরছে সময়সূচিতে।
খাদ্যসহায়তার টাকা পৌঁছাবে লাখো পরিবারের হাতে, ভোক্তারা আবার ফিরবেন দোকানের দিকে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন,
“ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু সেটি সামলে উঠবে আমেরিকা।” স্বাস্থ্যবিমায় রাজনৈতিক ছায়া তবে সবকিছু ঠিকঠাক নয়।
ডেমোক্র্যাটদের কণ্ঠে এখনো অনুযোগ— বিলটিতে নেই স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকির নিশ্চয়তা।
প্রস্থানরত প্রতিনিধি মিকি শেরিল তাঁর শেষ বক্তৃতায় বললেন,
“আমরা যেন এমন কংগ্রেসে পরিণত না হই,
যারা কেবল সই দেয়, কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়ায় না।”
সারসংক্ষেপ নয়, দৃশ্যটি এমন
ওয়াশিংটনের বাতাসে এখন মিশে আছে স্বস্তি আর সংশয়ের গন্ধ।
সরকার আবার চলছে,কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে—
পরের শাটডাউন কি আরও কাছেই?
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।