গাজার নাম পরিবর্তন করে 'ট্রাম্প গাজা' রাখতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প

গাজার নাম পরিবর্তন করে 'ট্রাম্প গাজা' রাখতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর অঞ্চলটি দখল করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি গাজাকে 'রিভেইরা অব দ্য মিডল ইস্ট' বা মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। সম্প্রতি তিনি তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি বিতর্কিত ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে গাজা উপত্যকায় তার পরিকল্পনাবলির একটি কল্পিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে, তার এই প্রস্তাব আরব বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, গাজায় বসবাসরত প্রায় ২০ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক অন্য দেশে পাঠানো হতে পারে। এছাড়াও, এই পদক্ষেপ অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

কিন্তু সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প তার পরিকল্পনা নিয়ে অটল। সম্প্রতি তিনি ট্রুথ সোশ্যালে ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে 'গাজা ২০২৫: হোয়াট ইজ নেক্সট?' শিরোনামে তার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়েছে। ভিডিওটি কে তৈরি করেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

ভিডিওটিতে একটি চটকদার ও সাহসী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, গাজায় একটি নতুন ট্রাম্প হোটেল, ট্রাম্পের স্বর্ণের তৈরি বিশাল মূর্তি, সমুদ্র সৈকতে ট্রাম্প-বেলুন নিয়ে খেলতে থাকা শিশু এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইলন মাস্ককে পর্যটক ও শিশুদের দিকে অর্থ ছুড়ে দিতে। এছাড়াও, ট্রাম্পকে একজন বেলিড্যান্সারের সঙ্গে নাচতে এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ককটেল পান করতে দেখা গেছে।

এই ভিডিওটি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী এটিকে 'ভয়াবহ' ও 'অনুচিত' বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ কেউ একে 'বিশ্বমঞ্চে নোংরামি' বলে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এই ভিডিও ট্রাম্পের গাজা নিয়ে পরিকল্পনার গভীরতা ও সিরিয়াসনেসকে তুলে ধরেছে।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ও ভিডিওটি গাজা ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কঠোর নজরদারির মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে, এই ঘটনা গাজা ও এর বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।


সম্পর্কিত নিউজ