গাজায় নতুন বিপদ: আকস্মিক বন্যা ও ভবন ধসের শঙ্কা
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজায় আশ্রয়হীন মানুষের দুর্দশা আরও প্রকট হতে শুরু করেছে শীতল বাতাস, বর্ষণ এবং হঠাৎ বন্যার সম্ভাবনায়। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে শক্তিশালী নিম্নচাপ ও ঠান্ডা বায়ুপ্রবাহ গাজা উপত্যকায় পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে ওঠে।
ফিলিস্তিনি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ নিম্নচাপ থেকে মাঝে মাঝে প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রঝড় হতে পারে, যা ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো এবং দুর্বল অস্থায়ী আশ্রয়গুলোর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে।
এ অবস্থায় গাজা সিভিল ডিফেন্স জরুরি সতর্কতা জারি করে বলেছে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় থাকা বাস্তুচ্যুত মানুষদের তাঁবু আরও মজবুতভাবে স্থাপন করতে হবে। বন্যা ও ধসঝুঁকি এড়াতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশনা। শক্তিশালী বৃষ্টিতে আগেই বিধ্বস্ত ভবনগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকায় এসব স্থাপনার কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁবুর চারপাশে পানি বের হওয়ার জন্য অস্থায়ী ড্রেনেজ তৈরি করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে টেন্টের ভেতর বা প্লাস্টিকের কাছাকাছি আগুন না জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত দুই মৌসুমের ভারি বৃষ্টিতে বহু শরণার্থী আশ্রয় ক্ষতিগ্রস্ত বা ভেসে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় নষ্ট হওয়া এসব অস্থায়ী বসতি এখন আরও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। গাজা মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবুর মধ্যে ৯৩ শতাংশই আর মানুষের থাকার উপযোগী নেই। তবুও বিকল্প না থাকায় হাজারো পরিবার সেগুলোতেই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে মানবিক সহায়তা সীমিত করে দেওয়ায় নতুন তাঁবু, শেল্টার বা মোবাইল ইউনিট গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মানবিক চুক্তি লঙ্ঘন করেই ইসরায়েল এসব জরুরি সামগ্রী আটকিয়ে রেখেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।