কিচ্ছুক্ষণ পরেই শেখ হাসিনার রায়, পলাতক হওয়ায় আপিলের সুযোগ নেই
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ প্রদান করবে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছে।
মামলার কার্যক্রমে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেফতার আসামিরা আইন অনুযায়ী রায় ঘোষণার পর ত্রিশ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। একই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষও আপিল করার সুযোগ পাবে। তবে পলাতক আসামিদের ক্ষেত্রে এ অধিকার প্রযোজ্য হবে না।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম বলেন, এ মামলার দুজন আসামি, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান বর্তমানে পলাতক। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তারা আপিলের আইনি সুযোগ পাবেন না। তিনি আরও জানান, ফৌজদারি কার্যবিধিতে জামিনের ক্ষেত্রে নারী, কিশোর, অসুস্থ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও রায় প্রদানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে আইনি কোনো পার্থক্য নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিশেষ ছাড়ের কোনো বিধানও নেই। তাই আসামির লিঙ্গ নির্বিশেষে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায়ই শাস্তি নির্ধারণ করা হবে।
মামলার একমাত্র গ্রেফতার আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ট্রাইব্যুনালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ তিনি পেয়েছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নির্দেশের ভিত্তিতে জুলাই-আগস্ট মাসে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে প্রায় দেড় হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয় এবং অন্তত ৩০ হাজার মানুষ আহত হন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। রায় ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এ মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।