জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় এটি পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়।

দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয় অধ্যায়ে সাজানো ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। প্যানেলের অন্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। রায় ঘোষণার সময় আদালত ছিল জনাকীর্ণ; উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী, নিহতদের পরিবার ও বিভিন্ন পর্যবেক্ষক।

রায়ে আদালত উল্লেখ করে যে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনীত তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং বাকি দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ করেছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী ও সর্বোচ্চ নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা।

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর গত বছরের ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে চলতি বছরের মার্চে মামলাটিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপিকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাঁচটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে ১০ জুলাই বিচারকাজ শুরু হয়।