‘রক্তপিপাসু ও দেশদ্রোহী খুনি’ হিসেবে হাসিনার জন্য মৃত্যুদণ্ডই যথোপযুক্ত শাস্তি: সাদিক কায়েম
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটক বিক্ষুব্ধ জনতার স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি সাদিক কায়েম তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রায়ের প্রতি সমর্থন জানান।
ডাকসু ভিপি তাঁর মন্তব্যে বলেন, শহীদের রক্তের ন্যায্য প্রতিফলই হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। তাঁর দাবি, ‘রক্তপিপাসু ও দেশদ্রোহী খুনি’ হিসেবে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার জন্য মৃত্যুদণ্ডই ছিল যথোপযুক্ত শাস্তি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রায় কার্যকর হলে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পথে অগ্রসর হবে।
সোমবার সকালেই ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়। বিচার চলাকালে পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসাদুজ্জামান খান কামালকে সবগুলো অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ মামলায় ৫৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে আহত ব্যক্তি, নিহতদের পরিবার, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ছিলেন। আদালতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারিত অডিও–ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণও উপস্থাপন করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যুর অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত বিচারিক ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।