হেগেই যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ড ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় প্রদান করে। রায়ে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য তাকে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এ নিয়ে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়কে উপেক্ষা করে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
রায় ঘোষণার পরপরই ভারত থেকে এক লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান শেখ হাসিনা। তিনি রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, ‘অবৈধ’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যায়িত করেন। তার অভিযোগ, আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য ও পূর্ণ সুযোগ তাকে দেয়া হয়নি এবং তার পছন্দের আইনজীবীকেও আদালতে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং যথাযথ আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হলে তিনি আশঙ্কিত নন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বহুবার প্রস্তাব দিয়েছেন যেন এই অভিযোগগুলো হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উপস্থাপন করা হয়; কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তার সেই প্রস্তাবে কর্ণপাত করেনি। তিনি আরও বলেন, বিচারটি তার অনুপস্থিতিতে সম্পন্ন হওয়ায় নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাননি, যা তিনি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে তিনি আইসিটিকে ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডহীন’ দাবি করে বলেন, আদালতটি নিরপেক্ষ নয় এবং তার প্রতি সহানুভূতিশীল বিচারক বা আইনজীবীদের অপসারণ বা ভয় দেখানো হয়েছে। তার অভিযোগ, অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে নথিভুক্ত সহিংসতা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, বরং একমাত্র আওয়ামী লীগকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি দাবি করেন, বর্তমান প্রশাসনের অগোছালো কার্যক্রম থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে এই বিচার প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোটি মানুষ দুঃখ-কষ্টে থাকলেও বর্তমান সরকার তাদের সমর্থন হারিয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।