বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবসহ সর্বমোট সাত বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় প্রদান করেন। এ সময় এজলাস কক্ষ আইনজীবী, সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

গত ১১ নভেম্বর শুনানি শেষে ২০ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানিতে বিএনপি, জামায়াত ও আপিলকারী কয়েকটি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হলেও আসন্ন নির্বাচন সংবিধিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। রায়ে সেই অবস্থানই প্রতিফলিত হয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তৎকালীন আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন পক্ষের পুনর্বিবেচনার দাবির প্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর নতুন করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে আপিল বিভাগ এবং আপিলের অনুমতি প্রদান করে। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন নাগরিক, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন অধ্যায় সূচনা করল।