চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখক সম্মেলন: “ইতিহাস বিকৃত থেকে বাঁচাতে পারে সাহিত্য”, উপাচার্য
- Author, চবি প্রতিনিধি
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইতিহাস বিকৃতি রোধে সাহিত্য ও লেখকদের দায়িত্বশীল লেখনীই পারে যুগের সত্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে— এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি বলেন, “লেখক হওয়ার গুণ সবার মধ্যেই থাকে, তবে সেই গুণ চর্চার মাধ্যমে বিকশিত করতে হয়। সাহিত্য সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ; সত্যিকারের সাহিত্যই ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করে।”
শুক্রবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সম্মেলন”-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দীনবন্ধু মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম এরা তাঁদের সময়ের সমাজ বাস্তবতা এমনভাবে সাহিত্যিক শক্তিতে তুলে ধরেছেন যে সেই ইতিহাস সহজে কেউ বিকৃত করতে পারে না। ক্ষুদিরাম বসু ও সূর্যসেনের ইতিহাসও একইভাবে অমলিন। কিন্তু বাংলাদেশের সমকালীন বাস্তবতা— যেমন ‘ক্রসফায়ার’ কিংবা ‘আয়নাঘর’— এগুলো সাহিত্যিক নথিবদ্ধতার অভাবে একসময় বিকৃত হয়ে যেতে পারে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অনেক লেখক প্রেমের কবিতা লিখলেও রাষ্ট্র, সমাজ ও বাস্তবতার কঠিন গল্প তুলে ধরতে আগ্রহী নন। “শুধু লেখলেই লেখক হওয়া যায় না; লেখকের সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতি নৈতিক দায় রয়েছে”— যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. হায়াত হোসেন, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাসেম এবং শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক। চবি লেখক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রউফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আয়েশা হক শিমু।
সম্মেলনে লেখক পরিষদের সদস্য, শিক্ষক সমাজ, সাহিত্যিক এবং সুধীজনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।