উপদেষ্টা বলেন, “এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চাই।” তিনি জেলা প্রশাসকদের প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান। চলতি মাসের ১৭ তারিখের মধ্যে সব উপকারভোগীর স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবেন। যাদের এখনও স্মার্ট কার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি কিন্তু তালিকায় নাম আছে, তারাও পণ্য পাবেন। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

রমজানে মজুতদারি রোধ এবং ভোক্তাদের পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করা থেকে বিরত রাখার জন্য জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “একসঙ্গে পুরো মাস বা সাত দিনের পণ্য কিনলে সরবরাহ সংকট তৈরি হয় এবং কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে দেয়।”

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, কিন্তু কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।” এসময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে টিসিবি’র উপকারভোগী নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটা নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের মধ্যে আপনাদের (জেলা প্রশাসক) গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং মানুষ আপনাদের ইজ্জত (সম্মান) দিবে।”

এ সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।