ভূমিকম্প আতঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, বন্ধ হচ্ছে না প্রাথমিক বিদ্যালয়
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বারবার ভূমিকম্পের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোববার থেকে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে। ভূমিকম্পজনিত কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ায় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, হলগুলোর পুরোনো অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য প্রকৌশলীদের চার সপ্তাহ প্রয়োজন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট দুই সপ্তাহ সময় দেয়ায় সব হল খালি করা প্রয়োজন হয়ে গেছে। এই সময়কালে অনলাইনে ক্লাস চলবে।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) চারদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। রবিবার (২৩ নভেম্বর) জরুরি বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানান, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জবি উপাচার্য বলেন, ভবনগুলো পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেলে, তদনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস চলবে। এর আগে, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, ভূমিকম্পের মতো অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, আতঙ্ক নয়, সতর্কতা ও প্রস্তুতি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক নির্দেশনা পেয়েছে।
ডা. পোদ্দার আরও জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পদোন্নতি দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে এবং বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হলে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। এরপর শূন্যপদগুলোতে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।