ভূমিকম্প আতঙ্কে বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ক্যাম্পাসের বিড়াল-কুকুরদের জন্য ডাকসুর বিশেষ উদ্যোগ
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পজনিত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হল ত্যাগ করায় আবাসিক এলাকা প্রায় খালি হয়ে পড়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে হলের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত বিড়ালগুলো, বিশেষ করে ছাত্রী হলগুলোতে থাকা বহু বিড়াল বর্তমানে খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে। নিয়মিত খাবার হিসেবে মাছ, মাংস বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল এই প্রাণীগুলো হঠাৎ সৃষ্ট এই বিপর্যয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারছে না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে বসবাসকারী কুকুরগুলোর জন্যও এই সময়টি অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও CARE-এর যৌথ উদ্যোগে ক্যাম্পাসের বিড়াল ও কুকুরগুলোর জন্য জরুরি খাদ্য–ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে ক্যাটফুডসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রী হলগুলোতে বর্তমানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে গুগল ফর্মের মাধ্যমে হলের বিড়ালগুলোর বর্তমান অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উদ্যোগের সমন্বয়কারীরা বলেছেন, সংকটময় এই সময়ে ক্যাম্পাসের প্রাণীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা একটি মানবিক দায়িত্ব। শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে হল ছাড়লেও প্রাণীগুলো পুরোপুরি নির্ভরশীল থেকে গেছে পূর্বের পরিবেশের ওপর। তাই যেকোনো তথ্য, অবস্থান বা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দ্রুত পাঠানোর আহ্বান জানান তারা।
এই কার্যক্রমে যোগাযোগের জন্য তিনজন দায়িত্বশীল সদস্যের মোবাইল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য আনাস ইবনে মুনির, অমর একুশে হল সংসদের এজিএস উবায়দুর রহমান হাসিব এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাদিক মনোয়ার মুনেম। জরুরি সহায়তা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে তারা সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।