রাতে দই খাওয়ার প্রতিক্রিয়া
এটা কি স্বাস্থ্যসম্মত না ঝুঁকিপূর্ণ?

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দইয়ের স্বাদ প্রায় সবারই প্রিয়। তবে ভুল সময়ে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কখন এবং কীভাবে দই খাওয়া উচিত, তা জানা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, খালি পেটে দই না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দই খাওয়ার সময় আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বসন্তকালে এবং রাতে দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এর ফলে গাঁটে ব্যথা, শরীরে ফোলাভাব এবং হজমতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দই একা না খেয়ে এর সঙ্গে আমলকির রস বা মধু জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শরৎ ও শীতকালে দই খাওয়া বেশ উপকারী বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঋতুতে দই হজমশক্তি বাড়ায়, শরীরে পুষ্টি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। সঠিক সময়ে দই খেলে তা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
দই শুধু হজমশক্তি বাড়ায় না, শরীরে শক্তিও জোগায়। এতে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে রাতে দই খাওয়া এড়ানো উচিত, কারণ এর ঠাণ্ডা প্রভাব রয়েছে। রাতে দই খেলে শরীরে কফ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দিনের বেলায়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে দই খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, দইয়ের পুষ্টিগুণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পেতে হলে ঋতু ও সময় অনুসারে এটি খাওয়া উচিত। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সঠিক সংমিশ্রণে দই খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি উপকারী হয়। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, দৈনন্দিন রুটিনে সঠিক পদ্ধতিতে দই অন্তর্ভুক্ত করলে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এছাড়া, কোমল পানীয়ের পরিবর্তে দই দিয়ে তৈরি লস্যি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঠাণ্ডা পানীয়ের চেয়ে অনেক বেশি উপকারী। সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে দই খেলে তা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।