বহুমুখী শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ইবিতে নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা
- Author, ইবি প্রতিনিধি
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘বহুমুখী শিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেন্টার (আইকিউএসি) কনফারেন্স হলে আইকিউএসি’র উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
তে আইকিউএসি -এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শাইদুর রহমান
এসময় আইকিউএসি এর পরিচাল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিন বলেন, আইকিউএসি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর স্টুডেন্টদের নিয়ে এটা দ্বিতীয় প্রোগ্রাম। এখানে ৩৬টা ডিপার্টমেন্টের দুইজন করে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি আছেন। আজকে বহুমুখী শিক্ষা যেটা, এটা সারা বিশ্বে একটা নতুন ট্রেন্ড। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার জন্য মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টার থাকা উচিত। তাই আজকের প্রোগ্রামটা হচ্ছে একটা আইস ব্রেকিং যে আমি বাংলায় পড়ি, আমি জার্নালিজমের জন্য কাজ করবো। আমি ফিজিক্সে পড়ি, আমি কেমিস্ট্রিতে কাজ করবো। আমি ব্যাংকিং পড়ি, আমি হচ্ছে ম্যাথের সাথে কাজ করবো। আমরা একটা আইস ব্রেকিং মাল্টিডিসিপ্লিনারি স্টাডির চ্যালেঞ্জ, সুযোগের উপরে আলোচনা করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাকরির একটা বয়স আছে, যার জন্য মানুষ ইচ্ছা করলেও চেষ্টা করে না যে আমি ওই জায়গাতে আর পড়ব। কারণ এখান থেকে এমএ করতে করতেও অনেকের ২৬-২৭ বছর হয়ে যায়। তো ৩০ বছর চাকরি হলে সে ওইখানে গিয়ে আর একটা নতুন ডিসিপ্লিনে যোগ হবে, চাকরির এক্সটেনশনও নাই যে, সরকারি চাকরি যদি বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য এই অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তো অন্য একটা সাবজেক্টে গিয়ে লেখাপড়া আসলে করার সুযোগ হয় না। তো আমি আশা করি আজকে আমাদের যিনি রিসোর্স পার্সন আছেন, সে আমাদের আজকে আপনাদেরকে বুঝাবেন যে আসলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি পড়লে কি হয়। নিজের মেধা, যোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পায়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বর্তমানে প্রতিটি সাবজেক্টে মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ অপরিহার্য, যদিও বাংলাদেশে এখনও মাল্টিডিসিপ্লিনারি ডিগ্রির সুযোগ সীমিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (স্নাতক) পর্যায়ে এই সুযোগ তৈরি করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের পছন্দের বিষয়ে অধ্যয়নের অপশন উন্মুক্ত থাকে এবং তারা অনার্স শেষে নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী বিশেষায়িত ডিগ্রি নিতে পারে।
শিক্ষার্থীদের ফিউচার শেপিংয়ের জন্য মাল্টিডিসিপ্লিনারি সিলেবাস এবং মাল্টিডিগ্রির অ্যাপ্রোচ (যেমন, রেগুলার কোর্সের পাশাপাশি আরেকটি মাস্টার্স) চালু করা উচিত। এই কোর্সগুলো যেন মানসম্পন্ন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা শুধু শিক্ষক নন, তাদের শিক্ষার্থীদের "নার্সিং" করার অর্থাৎ সঠিক পথে পরিচালনার দক্ষতাও থাকা প্রয়োজন। সংক্ষেপে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সিলেবাসকে অবশ্যই মাল্টিডিসিপ্লিনারি করতে হবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।