বন্যায় চার দেশে মৃতের সংখ্যা এক হাজারের অধিক

বন্যায় চার দেশে মৃতের সংখ্যা এক হাজারের অধিক
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চার দেশ- ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় টানা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়জনিত দুর্যোগে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে প্রাণহানি এক হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৫০২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। আরও ৫০৮ জনকে নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসে সুমাত্রা দ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজে হিমশিম খাচ্ছে।

শ্রীলঙ্কায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩৫৫ জনে, পাশাপাশি ৩৬৬ জনকে নিখোঁজ হিসেবে শনাক্ত করেছে দেশটির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার। রাজধানী কলম্বোর উত্তরের কাদুওয়েলা এলাকাসহ বহু অঞ্চলে পানির উচ্চতা দুই মিটারের বেশি ছুঁয়েছে। নৌকাযোগে সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী দল খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিতে তৎপর রয়েছে। দুর্যোগের ব্যাপ্তি এত বড় যে কর্তৃপক্ষ এখনও নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত পাওয়ার আশায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে; ভারতের একটি বিমানবাহী রণতরী হেলিকপ্টারসহ সহায়তায় অংশগ্রহণ করছে। জাপানের বিশেষজ্ঞ দলও ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছে।

চলমান মৌসুমি বর্ষা শ্রীলঙ্কায় সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হলেও এ বছর দু’টি পৃথক ঘূর্ণিঝড়—‘দিতওয়া’ ও ‘সেনয়ার’—এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট দিতওয়া শুক্রবার শ্রীলঙ্কায় আঘাত হানার পর পুনরায় সাগরে ফিরে ভারী বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করে। সোমবার এটি ভারতের তামিলনাড়ুর উপকূলের নিকটবর্তী হয়ে দুর্বল হয়ে ‘গভীর নিম্নচাপ’-এ রূপ নেয়। তামিলনাড়ুতে ভারী বর্ষণে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পুদুচেরি, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্নাটক, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দুর্যোগ প্রতিরোধ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মালাক্কা প্রণালীতে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় সেনয়ার ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত, প্রবল দমকা হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। থাইল্যান্ডের অন্তত আটটি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দেশটিতে ১৭৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঝড়টি মালয়েশিয়ার উপকূল ছুঁয়ে গেলে সেখানে দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে মোট মৃতের সংখ্যা সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে এখনো উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার অব্যাহত রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ আল জাজিরা

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ