চবিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার উস্কানি দাতা উদয় কুসুমের ‘সংবর্ধনায়’ উপস্থিত চবি কর্মকর্তারা
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় 'উস্কানি দাতা' হিসেবে দল থেকে বহিষ্কৃত হন বিএনপি নেতা সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া । পুনরায় বিএনপি তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যহার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ককর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
তথ্যমতে, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের দফায় দফা সংঘর্ষ ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হয় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত হয়ে আইসিওতেও ভর্তি ছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীর সামনে দেওয়া উদয় কুসুম বড়ুয়ার একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বক্তব্যতে শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়দের হামলায় উস্কানির অভিযোগ উঠে কুসুম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা বহির্ভূত কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া কে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সম্প্রতি তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করায় করে একাধিক স্থানে উদয় কুসুমের অনুসারীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের সহকারী রেজিস্টার খায়রুন নবী , কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অফিসে কর্মরত মোহাম্মদ ওসমান , পরিবহন দপ্তরের ড্রাইভার মোঃ ইসমাইল সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উস্কানি দাতার সংবেদন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করায় খুব প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে আহত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরূপ আচরণে মর্মাহত হয়েছি। আমাদের রক্তের উপরে ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কর্মকর্তারা উস্কানি দাতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন । দলীয় মতাদর্শ একটি স্বাভাবিক বিষয় উনারা যদি কোন দল করে থাকে বা দলের অনুসারী হয়ে থাকে তাহলে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করা কোন দোষের বিষয় নয় তবে যে ব্যক্তির উস্কানিতে আমাদের সহস্রাধিক ভাই আহত হয়েছে তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কেউ অংশ নিলে আমাদের জন্য দুঃখজনক।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের সহকারী রেজিস্টার খায়রুন নবী জাগরণকে বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শ বিশ্বাসী। অনুষ্ঠানটি জাতীয়তাবাদী দল থেকে আয়োজন করায় আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছি । কিন্তু উদয় কুসুম বড়ুয়া আবার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করায় অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে আসছি এবং আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্য হিসেবে এ বিষয়কে সমর্থন করি না।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অফিসে কর্মরত মোঃ ওসমান জাগরণকে বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে আমার সেখানে যাওয়া উচিত হয়নি আমি মূলত অফিস শেষ করে ওই দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। এখানে আমার স্থানীয় কয়েকজনের সাথে দেখা হয় তারা আমাকে সেখানে নিয়ে যায় আমি সেখানে কোন বক্তব্য রাখিনি ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারটি আমি আপনার মাধ্যমে শুনলাম। যদি আমরা এ ধরনের কোন অভিযোগ পাই এবং সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজ হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যে কোন কাজ তো করতেই পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।