গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডঃ অধ্যাদেশ জারি
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) এই অধ্যাদেশটির গেজেট প্রকাশিত হয়। অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে।
গেজেটে গুম সংঘটিত অপরাধসমূহকে জামিন অযোগ্য ও আপস অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অপরাধের প্রকৃতি অনুসারে শাস্তির বিভিন্ন স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলো-
১. মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডঃ গুম হওয়া কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে অথবা গুমের পাঁচ বছর পরেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে, দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
২. যাবজ্জীবন বা ১০ বছর কারাদণ্ডঃ কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার, আটক বা স্বাধীনতা হরণ করার পর তার অবস্থান গোপন রাখলে এবং এ কারণে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে, একে শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ (গুম) বলে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
৩. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জন্য সমান সাজাঃ গুমের আদেশ বা অনুমতি দেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও মূল অপরাধীর সমান সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
৪. প্রমাণ গোপন করা বা আটককেন্দ্র স্থাপনঃ কোনো ব্যক্তি সজ্ঞানে গুমের সাক্ষ্য-প্রমাণ গোপন, বিকৃত বা নষ্ট করলে, অথবা গুমের উদ্দেশে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করলে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
এছাড়া অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা অন্য কোনো অজুহাত এক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও তিনি মূল অপরাধের সমান দণ্ডপ্রাপ্ত হবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলেও এই অধ্যাদেশের অধীনে তার বিচার সম্পন্ন করা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।