বিশেষ বৃত্তির আওতায় না রাখার প্রতিবাদে জবির আস সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী প্রকল্পের’ আওতায় থাকা শিক্ষার্থীরা বিশেষ বৃত্তির আওতায় বাহিরে রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক এমন নীতির প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপাচার্যের বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করেন, আস সুন্নাহ প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থায়ী হল নয়; এটি অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা, যেখানে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে থাকতে হয়। স্কলারশিপ কাঠামো পরিবর্তনের সম্ভাবনা, টিউশনি নিষেধাজ্ঞা এবং আয়–উপার্জনের সুযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত চাপে পড়ছেন।
এ সময় ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী বখতিয়ার রহমান বলেন, প্রকল্পটিকে ‘হল’ দাবি করলেও কোনো বাজেট নেই, বরং দেরিতে ফিরলে জরিমানার মতো অস্বাভাবিক নিয়ম চালু আছে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীদের জরিমানা করা হয়েছে। “বিশ্বের কোন হলে মাত্র একদিন দেরিতে ফিরলেই শিক্ষার্থীদের জরিমানা করা হয়?”প্রশ্ন তোলেন তিনি।
১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সজীব মৃধা বলেন, “জবির শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় মৌলিক চাহিদা আবাসন। আমরা আন্দোলন করে আবাসন বৃত্তির বৈধতা পেয়েছি; কিন্তু প্রশাসন বারবার টালবাহানা করছে।”
তিনি আরও বলেন, সিজিপিএ বা উপস্থিতির মতো অযৌক্তিক শর্ত চাপিয়ে বৃত্তিকে জটিল করা যাবে না। আস সুন্নাহ প্রকল্পে থাকা শিক্ষার্থীরাও আবাসন সংকটে থাকেন তাই তাদের বৃত্তির আওতায় আনতে হবে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম সিন্ডিকেট সভায় ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করা হয়। এতে অস্বচ্ছলতা, মেধা, উপস্থিতি ও ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত আবাসনে সিট পাওয়া বা সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য অযোগ্য থাকবেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।